
সৈয়দ সাইফুল ইসলাম নাহেদ সিলেট
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমরা এতোদিন গোলামের জীবন যাপন করতাম। বিশেষত হলগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের শিকার হতে হতো। তবে জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে শহীদদের মাধ্যমে আমরা শপথ নিয়েছি- আমরা আর গোলামের জীবন যাপন করবো না।শুক্রবার বিকেলে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভায় নাহিদ ইসলাম এমনটি বলেন।শুক্রবার বিকেলে জুলাই পদযাত্রা নিয়ে সিলেট আসে এনসিপি। সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট শহরে আসার পথে শবিপ্রবি গেইটে পথসভা করেন নাহিদ ইসলামরা।এতে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নির্বাচন দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় গলগুলো ঠিকমত খাবার থাকতে হবে। লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বই থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একাডেমিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শাবিপ্রবির অসীম সাহসিকতা দেখিয়েছিলে। এখান থেকে লড়াই পুরো সিলেটে ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একেকটা দুর্গ হয়ে উঠেছিলো।তিনি বলেন, এই একবছরে আমাদের অনেক চাওয়া পাওয়া পুরণ হয়নি। তবে দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অনেককিছু সংস্থার হচ্ছে।নতুন বাংলাদেশে তরুণরাই নেতৃত্ব দেবে বলে এসময় মন্তব্য করেন তিনি।এরআগে দুপুরে সুনামগঞ্জে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শেষে শহরের আলফাত স্কয়ারে পথসভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র মেরামতের জন্যই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনাকে উৎখাত করেছে। নতুন বাংলাদেশ ও নতুন বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। শেখ হাসিনা একটা ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে গেছে।’জুলাই পদযাত্রায় অংশ নিতে বৃহস্পতিবার রাতেই সুনামগঞ্জ এসে পৌঁছান এনসিপির নেতৃবৃন্দ। পরে শুক্রবার সকালে জুলাই আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের সাথে কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।সুনামগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে পদযাত্রা করে শহরের আলফাত স্কয়ারে আসেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।আলতাফ স্কয়ারের পথসভায় সুনামগঞ্জকে তারা নতুন করে গড়ে তুলবেন বলেও উল্লেখ করেন নাহিদ।তিনি বলেন, ‘মুজিববাদ নানা ছলে—বলে মাথা চাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মুজিববাদের রাজনীতি বাংলাদেশে হবে না। মুজিববাদের বিরুদ্ধে সামাজিক—সাংস্কৃতিক ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’তিনির আর বলেন, ‘মুজিববাদ মানে— একদলীয় শাসনব্যবস্থা, লুটপাট, দুর্নীতি, ইসলাম বিদ্বেষ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখল, দেশে ভারতের কাছে বর্গা দেওয়ার রাজনীতি। সেজন্য মুজিববাদের হাত থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ রক্ষা করতে হবে।’